
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের স্বনামধন্য টাইপালং হামিদিয়া দারুসুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ও সুপার মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ভুঁয়া জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও শিক্ষক নিবন্ধন সনদ সহ একাধিক তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে বিএসসি শিক্ষক পদে ভুঁয়া শিক্ষক মোহাম্মদ অপু কে নিয়োগ বাণিজ্যের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, পার্বত্য বান্দরবান জেলার বালাঘাটার স্থায়ী বাসিন্দা ফরেষ্ট ডিপার্টমেন্টের কর্মচারী স্বপন বড়ুয়ার পুত্র সুদর্শন বড়ুয়া ওরফে অপু এসএসসির পাশের পর বান্দরবান বিলকিছ বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষকতা করেন। ওই সময় উক্ত বিদ্যালয়ের ছাত্রীর সাথে অবৈধ যৌন কেলেঙ্কারীর দায়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি তাকে বরখাস্ত করে এবং শাস্তিমূলক মাথা ন্যাড়া করে দেয় বলে সুত্র নিশ্চিত করে। উক্ত ঘটনার ফলে তার পিতা স্বপন বড়–য়া তাকে মৌখিক ভাবে ত্যাজাপুত্র ঘোষণা করেন বলে জানা যায়।
পরবর্তীতে উখিয়া উপজেলার পশ্চিম রতœা গ্রামের জনৈক ব্যক্তির সাথে তার বোনের বিবাহ সূত্রে স্থান নেয় পশ্চিমরতœা গ্রামের বোনের শ্বশুর বাড়ীতে। এ সুবাধে নারী লোভী, প্রতারক সুদর্শন বড়ুয়া ওরফে অপু একই গ্রামের পার্শ্ববর্তী মৃত মকবুল আহমদ মিস্ত্রীর কন্যা ছেনুয়ারা বেগমের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করে পালিয়ে বিয়ে করে। পরবর্তীতে তার সাথেও প্রতারণা করে অসহায় ছেনুয়ারাকে ফেলে অন্যত্র পালিয়ে যায় এবং পরিচয় গোপন করে উখিয়ায় উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভুঁয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যু করে। নিবন্ধন তারিখ- ২১/১১/২০১৩ইং, বহি নং-২২, পরিচিতি নং- ১৯৮৬২২১৯৪৩১১৪৭৮৬২, নাম- মোহাম্মদ অপু, পিতা- দিদার হোসেন, মাতা- খদিজা বেগম, সাং- সোনারপাড়া, জালিয়াপালং, উপজেলা-উখিয়া, জেলা- কক্সবাজার।
ভুঁয়া পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন সোনারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জালিয়াপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করাকালীন উক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদে তাকে স্থায়ী ভাবে নিয়োগ করার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি দাখিল করতে বলা হলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে অসদাচারণ সহ অফিস সহকারী হোছন আহমদকে চেয়ার ছুড়ে মেরে গুরুতর আহত করে বিদ্যালয় ত্যাগ করে।
বিস্তারিত আসছে….
পাঠকের মতামত